তাক্বওয়া ও মুত্তাক্বীন

পৃষ্ঠা সংখ্যা : 240
Cover : পেপারব্যাক
আমাদের জীবনে এমন কিছু গভীরতর বিষয় থাকে, যা আমরা সর্বদা প্রকাশ্যে জাহির করি না, অথচ সেগুলোর প্রভাব আমাদের আত্মার গভীরে প্রোথিত হয়। তাক্বওয়া এমনই এক মৌলিক অনুষঙ্গ—যা শুধু বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা মানব হৃদয়ের শুচিতা, আল্লাহর প্রতি অকৃত্রিম ভয় এবং নিভৃতে ও প্রকাশ্যে সৎ থাকার এক দুর্লভ শক্তি জোগায়। মহাবিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন:
"হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয করা হয়েছিল। যাতে তোমরা পরহেযগার (মুত্তাক্বী) হতে পার।"
(সূরা আল-বাক্বারা, ২:১৮৩) অথচ দুঃখজনক বাস্তবতা হলো—অনেকেই তাক্বওয়াকে কেবল কিছু গতানুগতিক ইবাদত বা বাহ্যিক কর্মের সমষ্টি হিসেবে বিবেচনা করেন। কিন্তু আল্লাহর দরবারে যেকোনো আমলের গ্রহণযোগ্যতা একান্তভাবে নির্ভর করে অন্তরের বিশুদ্ধতা ও নিয়তের স্বচ্ছতার ওপর। ভাবুন তো, তিহামা পর্বতমালার ন্যায় বিশাল নেক আমলও কিয়ামতের কঠিন দিনে ধুলিকণায় পরিণত হতে পারে, যদি সেই আমলের মূলে অন্তরের তাক্বওয়া না থাকে! (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২৪৫, সহিহ) এই অমূল্য গ্রন্থটিতে শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইজি মাদানি হাফিযাহুল্লাহ তাক্বওয়া বিষয়টি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁর লেখনীর পরতে পরতে উঠে এসেছে তাক্বওয়ার প্রকৃত অর্থ, এর স্তরবিন্যাস, গোপনে ও প্রকাশ্যে তাক্বওয়ার অনুশীলন এবং আমল কবুলের ক্ষেত্রে তাক্বওয়ার অনস্বীকার্য ভূমিকা। আশা করা যায়, এই বইটি পাঠকের হৃদয়ে তাক্বওয়ার প্রস্ফুরণ ঘটাবে এবং তাদের আত্মশুদ্ধির স্তরকে ইন শা আল্লাহ বহুলাংশে উন্নত করবে।
Price: 203.00 ৳ 290.00 ৳