চরিত্র গঠনের উপায়। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি কথা। চরিত্রের নৈতিক ভিত্তির উপর মজবুত থাকার মাধ্যমে এটি অর্জন করা যায়।
নৈতিক অবক্ষয়ের সয়লাবে আমাদের বর্তমান সমাজের প্রায় সর্বক্ষেত্র ডুবে আছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের মাঝে চারিত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্কট প্রকট রূপ ধারণ করেছে। পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যথাযথ নৈতিক শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে জাতির ভবিষৎ কর্ণধার এই তরুণ-তরুণীদের আদর্শিকভাবে গড়ে তোলা অপরিহার্য। কারণ, চরিত্র আপনা-আপনি উন্নত বা অনুপম হয় না। এর জন্য অধ্যবসায় ও চর্চার প্রয়োজন হয়। প্রত্যেক মুসলিমকে কুরআন-সুন্নাহ থেকে অনুপম চরিত্রের জন্য অর্জনীয় ও বর্জনীয় উপাদান সম্পর্কে জানতে হয় এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তা চর্চা করতে হয়।
উন্নত নৈতিক চরিত্রের শ্রেষ্ঠতম নমুনা হলেন, আমাদের প্রিয়নবী রাসূলুল্লাহ (স)। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবের মাঝে ইনসানিয়াতের জন্য প্রয়োজনীয় ও গ্রহণযোগ্য সবটুকু বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি পরিপূর্ণভাবেই দিয়েছিলেন। অন্যদিকে অকল্যাণ ও ক্ষতিকর যাবতীয় দোষ-ত্রুটি থেকে তিনি ছিলেন সর্বতোভাবে পবিত্র। আর এ জন্য মানবজাতির সার্বিক কল্যাণ ও সাফল্যের জন্য আল্লাহ তাআলা আখেরি নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।
একজন আদর্শ মুসলিমের জন্য অর্জনীয় যেসব বৈশিষ্ট্য বা গুণ রয়েছে এবং যেসব বর্জনীয় ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে তা কুরআন-সুন্নাহর দলীল-প্রমাণ ও বাস্তব যুক্তি-উপমার মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হয়েছে অত্র বইয়ে। একই সাথে এসব বৈশিষ্ট্যের তাৎপর্য-উপকারিতা এবং ক্ষতিকর দিকও আলোচনা করা হয়েছে।
Reviews
There are no reviews yet.